
সাদ্দাম হোসাইন,হ্নীলা।
টেকনাফের হ্নীলায় ৩২ বছরের যুবকের সাথে ৫ম শ্রেণী পড়–য়া এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার একদিন পর প্রেমিকের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে উধাও হয়ে যাওয়ায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বর ও কনে পক্ষের লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে উধাও হয়ে যাওয়া প্রেমিকের ভাইয়ের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়-৪ অক্টোবর টেকনাফের হ্নীলা জাদিমোরায় পারিবারিক সম্মতিতে স্থানীয় নুর মোহাম্মদের মেয়ে ও এমআর সরকারী প্রাইমারী স্কুলের পিএসসি পরীক্ষার্থী নুরানা আক্তার (১৩) কে পাশ্ববর্তী নয়াপাড়ার মৃত নাগু মিয়ার পুত্র মোঃ সেলিম (৩২) সঙ্গে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পরদিন ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া মেয়ে তার আগের প্রেমিক হ্নীলা হাইস্কুলের ১০শ্রেণীর ছাত্র এবং জাদিমোরার নুরুল আলমের পুত্র নুরুল আবছার হাতধরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বর ও কনে পক্ষের ক্ষুদ্ধ লোকজন উধাও হয়ে যাওয়া প্রেমিক নুরুল আবছারের বড় ভাই মোঃ শাহ আলমের উপর চুরিকাঘাত ও হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখে। পরে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় শাহ আলমকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতাল হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ব্যাপারে প্রেমিক নুরুল আবছারের মা ছেনুয়ারা বেগম বলেন-আমার ছেলের সঙ্গে ঐ মেয়ের সম্পর্কের কথা শুনেছি। কিন্তু মা-বাবা জোরপূর্বক বিয়ে দিয়েছে। পরদিন হতে আমার ছেলে নুরুল আবছারকে খুঁজে পাচ্ছিনা। তারা আমার বড় ছেলে শাহ আলমকে চুরিকাঘাত ও বেদম প্রহার করেছে। জাদিমোরা এমআর স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহ আলম বলেন-বাল্য বিয়ে না দেওয়ার জন্য নিষেধ করা সত্বেও জোরপূর্বক বিয়ে দেয়। এর ফলেই এই ধরনের ঘটনার সুত্রপাত হয়। এই ব্যাপারে হ্নীলা হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম সালাম জানান-নুরুল আবছার হ্নীলা হাইস্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র। এই ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় লোকজনের মধ্যে নানা ধরনের কৌতুহল ও হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।
পাঠকের মতামত